প্রতি মাসে রহস্য পত্রিকা পড়ায় আমার কাছে অনেক গুলো জমা হয়ে গিয়েছিল। আমার এক বন্ধু একদিন এসে বেশকটা নিয়ে গেল আর আসলো পরের দিনই।
এসে বললো, কিরে এগুলো কি পড়িস।সব আলতু ফালতু কথা লেখা।
আমি বললাম, আলতু-ফালতু মানে।
ও আমাকে একটা পাতা খুলে দেখালো দেখলাম আসমার ওসমানের রহস্য গল্প খাটের নীচে কি থাকে? গল্পটাতে যদিও অশ্লিল কথা কিছুই লেখা নেই।
*****
তার কিছু দিন পর ও আমার বাড়িতে আসলো কয়েকটা CD নিয়ে। এগুলো নাকি DVD’তে রাইট করতে হবে। কিন্তু আমি সিডি গুলো খুলে চমকে উঠলাম। এগুলো যে ব্লু ফ্লিম।
আমি ওকে বললাম, এ সব DVD আমার কাছে নিয়ে এসেছিস কেন? আর রহস্য পত্রিকা পড়তে তোর লজ্জা লাগে।
ও মনে হয় আমার খোটাতে একটু রেগে গেল। বললো, অন্যদের দিতে তোর কোন সমস্যা নাই শুধু আমার বেলাতেই সমস্যা।
আমি বললাম, আর কাকে দিয়েছি? তুই জানিস এ গুলো আমি কোন দিন দেখি না্।(কথাটা কিছুটা হলেও মিথ্যা কারণ ক্লাস এয়িটে আমি এগুলো কয়েকটা দেখেছি। তাও বন্ধুর বাসায় যখন বুঝেছি এটা খারাপ তখন আর এ দিকে পা বাড়াই নি।)
ও বললো, এ্যা, তারেক’কে তো ঐ দিনেই দিলি।
আমি বললাম, ওটা তো টারমিনেটর মুভি।
ও বললো, ঐ খানেও তো আছে।
আমি বললাম, কি আছে?
ও বললো, মেলা কিছু, কিস-মিস। তারপর তিন নাম্বারে যে মেয়েটা ন্যাংটা হয়ে রাস্তায় হটে।
আমার মেজাজ এবার বেশ গরম হয়ে গেল। আমি বলাম, ঐ অংশ গুলো তো আমরা কেটে কেটে দেখি। তাছাড়াও ঐ রকম সিন আছে বড় জোড় তিরিশ সেগেন্ট।
ও এবার বললো, তাতে কি? এক কেজি চাল চুরি করা চুরি আবার এক টন চাল চুরি করাও চুরি।
ওর সঙ্গে হয়তো আরও তর্ক করা যে। হয়তো বা আমি বলতে পারতাম এক টন চাল চুরি করা চুরি নয় ডাকাতি। কিন্তু ওর ধরণের ছেলেরা যেটা বিশ্বাস করে। সেটা ক্ষোদ সৃষ্টিকর্তা এসেও যদি বলে কথাটা ভুল তবে তারা বিশ্বাস করবে না। আমি মিথ্যা খুব গুছিয়ে বলতে পারি তাই এবারও বললাম, আমার রইটার নষ্ট। প্রথমে ও বিশ্বার করলো না। তবে কম্পিউটারের কিছু না জানার কারণে। প্রমানও করতে পারলো আমি মিথ্যা কথা বলেছি।
বিদ্র: এটা একদম আমার বাস্তব অবিজ্ঞতা। আমাদের কথোপো-কথন গুলো শুধু অঞ্চলিক ভাষা থেকে শুদ্ধ ভাষায় করেছি। আর আমার বন্ধুর নাম প্রকাশ করি নি।
1 টি মন্তব্য:
chodon babu amar tomar dhonar galpo pora amar bala rosh asa gasa
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন