ছেলেটার নাম সৌরভ। ভালো ছাত্র ক্লাস নাইনে বানিজ্য শাখায় পড়ে, রোল ছয়। কম্পিউটারের প্রতি এক অসীম টান। কিছু দিন আমার কাছে কম্পিউটার শেখে। Microsoft Office শিখে ফেলে সাত দিনের মধ্যেয় টাইপ স্পিড বেশ ভালো। ইন্টারনেট ব্রাউজিং আমার কাছ থেকেই করে। অপশোনাল বিষয় হিসেবে ওর বিষয় হিসেবে কম্পিউটার নেয়।
ছেলের কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ দেখে বাবা কম্পিউটার কিনে দেবার সিন্ধান্ত নেয়। প্রায় সব কিছু ঠিক তখন দেখা দেয় ছেলের মামা।
-দুলাভাই আমি এগুলো কি শুনছি।
-কেন কি হয়েছে?
-এতটুকু বচ্চাকে নাকি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে আলতু ফালতু জিনিশ কিনে দিচ্ছ?
-কম্পিউটার জানার দরকার আছে রে। ছেলেটা কম্পিটার খুব ভালো বোঝে।
-কি ভালো বোঝে, কত টাকা রোজগার করেছে? কম্পিটার বোঝার মত বয়স কি ওর হয়েছে? কলেজে উঠুক তখন একটা কিনে দেবেন। এখন দিলে লেখা পড়ার বারোটা বেজে যাবে। তারচেয়ে একটা সি.এন.জি কিনে ফেলেন। দিন গেলে ১২০ টাকা।
ওদের পুরে কথপো-কথন’টা আমি আর আমার বন্ধু আমার বন্ধুর রুমে বসে শুনি। তারপর আমার বন্ধুর বাবা একটু প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল কিন্ত শালার কথার সাথে তার পারা সম্ভব হয় নি। এখানে আমার বাবা হলে হয়তো আমি তর্ক করতে পারতাম কারণ আমার বাবার সাথে আমার সম্পর্ক নিম-বন্ধু স্টাইলে। কিন্তু সবার বাবা কি এর নিম-বন্ধু?
এখানে দোষটা কার? আমার বন্ধুর বাবার যদি একটু টেকনিকাল জ্ঞান থাকতো। তাহলে কি এই উট-ভট দোহাই দিয়ে তার ছেলের কম্পিউটার কেনা আটকানো যেত?
আসেন সাবাই কম্পিউটার না কিনে সি.এন.জি কিনি দিন গেলে ১২০ টাকা।
3 টি মন্তব্য:
পরে কি ওর কম্পিউটার কেনা হইছিলো?
নাকি সি.এন.জি?
ঐ ছেলের বলা দরকার ছিলো,
'তাইলে কম্পিউটারের বদলে সি.এন.জি চালানোই শিখি'...।।
@নামহীন:
আমি হলে বলতাম। সাবাই তো আমি না।
Aachca computer assembled na branded , konta valo? Pls bistarito bolun....
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন