রমজান-ঈদ সবার জন্য আনন্দের। আমাদের মত কিশোরদের জন্য একটু বেশী আনন্দের। আমদের হুজুর স্যারের জন্য আরও বেশী আনন্দের। ওনি খুব একটা ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটর। ওনি ছাত্র-ছাত্রীদের চেহেরা দেখে রোজা ঠিক করে দেন। এর বেশী যদি কেউ রাখে তবে তিন দিন পড়া না পারলে তার মাইর মাপ। মজার ব্যাপার হল আমরা নবম শ্রেণীর ছাত্ররা ধর্মে ক্লাশে সবচেয়ে বেশী মাইর খাই। এত মাইর খাওয়ার করণ আমাদের হুজুর স্যার তিনি শুধু যে আমাদের ধর্ম বই পড়ান তানা কুরআন মাজিদ পর্যন্ত পড়ান। সত্যি কথা বলতে কি আমার আগ্রহ নাই। আমার বাবা এবং আমার চৌদ্দ গোষ্ঠ চেষ্টা করে পারে নি। সকালে যেটা পড়ি বিকালে সেটা মনে থাকে না। এখানে আমার কি দোষ!
নাহ্! হুজুর স্যারের ছেড়ে দেখি আমি আমার কথা লিখছি। হুজুর স্যারের কথায় আসা যাক। উনি যে শুধু আইন (মানে চেহেরা দেখে রোজা ঠিক করা আরকি) করে খান্ত রয়েছেন তা কিন্তু নয়। ওনি এটা বাস্তবায়নের জন্য সার্বক্ষন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সহযোগিতায় আছে আমাদের অবিভাবকগন।
আর এই সহযোগিতা কি ভাবে করে জানেনে?(!!) ইফতার ও রাতে খাবারের দাওয়াত দিয়ে (সেহেরির দেওয়াত কম পান) ।
এই রমজানে প্রতি বছরের মত এ বছরও আমার ভাগে সবগুলো রোজা পড়েছে (ভাগ্য ভালো আমি রোজা চোর নই)। তাতে কোন সমস্যা নাই সমস্যা হল অন্য জায়গায় রোজা থাকলে নামাজও পড়তে হয়। আপনারা যে যাই বলেন নামাজ পড়তে আমার ভালো লাগে না কিন্তু কিছুই করার নাই। রসায়ন যেমন পড়তে হবে ঠিক তেমনি নামাজও পড়তে হবে, হাজারও হলেও আমি হুজুর স্যারের ছাত্র!
5 টি মন্তব্য:
ঠিকই তো আছে।
হি... হি...
তা তুমি সবগুলো রোজা করতো ভাইয়া?
আমি কিন্তু সবগুলো করার চেষ্টা করি। :D
@রনি পারভেজ
জি ব্রাদার। ক্লাস ফাইভ থেকে আমাকে সবগুলো রোজা রাখতে হয়।
আপনার কি মেসে রোজা থাকতে অসুবিধা হয়।
আমি তো মেসে থাকিনা ভাইয়া। হলে থাকি।
আর আইইউটি ক্যাফেটেরিয়ার খাবার দাবার মাশাল্লাহ।
তাই কোনরকম অসুবিধাই হয়না। দারুন খাবার দেয় এখানে।
@রনি পারভেজ
তা হলে কি সকালে উঠতে পারেণ না?
পারি তো। :D
রুমমেটরা উঠিয়ে দেয়। :D :D
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন